সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:: লালমনিরহাটে মাদকসহ সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহিন আটকের ঘটনার প্রকৃত সত্যতা ও রহস্য উৎঘাটনের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী করেছে লালমনিরহাটে কর্মরত সকল সাংবাদিক।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আদালতে আনা হলে তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
লালমনিরহাটে কর্মরত সাংবাদিকরা জানান, লালমনিরহাটে বিজিবি কর্তৃক সাংবাদিক শাহিনকে যেভাবে মারধরে আহত করে আটক দেখানো হয়েছে তা গ্রামের এক গরুচোরকেও হার মানায়।
এদিকে শাহিনের আটকের ঘটনাটি সারাদেশের সাংবাদিকদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে লালমনিরহাট জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা ফুসে উঠে।
বিগত দিনে বিজিবি কর্তৃক কয়েক কোটি টাকার ইয়াবা, ফেনসিডিল উদ্বার করা হলেও সেখানে কোন আসামিকে দড়ি বেঁধে রাখা হয়নি। যা একজন সাংবাদিককে আটকের পর তাকে বেদম মারপিট করে ফটোশেসন করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি গভীর চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র যা গোটা দেশের সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। এরুপ পরিস্থিতি থেকে সাংবাদিকতা পেশাকে বাঁচাতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত জরুরী বলে মনে করছে সাাংবাদিক মহল।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে লালমনিরহাটের কুলাঘাটে এক বোতল ফেনসিডিলসহ দৈনিক জনকন্ঠ ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার লালমনিরহাট প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম শাহীনকে বিজিবি আটক করেন। আটকের পর সাংবাদিকের সাথে আচরনের বিষয়টি গোটা সাংবাদিক সমাজের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। বিজিবি’র মতো বাহিনীর দ্বারা সাংবাদিক সমাজ এমন আচরন কখনোই আশা করেননা।
আটকের পর সাংবাদিককে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলা বিষয়ে গভীর উদ্বেগ এবং সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ধারনা করা হচ্ছে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে সাংবাদিককে ফাঁসানো হয়েছে। দ্বৈতপেশার শাহীন আদিতমারী মহিষখোঁচা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক হিসেবেও কর্মরত রয়েছেন।